ডিজিটাল মার্কেটিং কি? এবং কিভাবে ইনকাম করবেন?

By hemalbhuiyan62@gmail.com

Published on:

ডিজিটাল মার্কেটিং কি? এবং কিভাবে ইনকাম করবেন?

আসসালামু আলাইকুম,

ইউটিউবে ভিডিও চালালেই ভিডিও শুরু হওয়ার আগে ৫ সেকেন্ড থেকে শুরু করে ২০ সেকেন্ড পর্যন্ত আগে দেখতেই হয়। এবার আসুন ফেসবুকে, ভিডিও দেখলে দেখবেন কিছুক্ষণ ভিডিও দেখার পর কম্পালসারি এক ধরনের এড আপনাকে দেখতেই হবে। স্কিপ করা করা যায় না, এ ছাড়া ফেসবুক স্কল করবেন তত স্পন্সর পোস্ট দেখতে পাবেন এগুলো সবই ডিজিটাল অ্যাডভার্টাইজমেন্ট। আর এই ডিজিটাল অ্যাডভার্টাইজমেন্ট বা ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়েই আজকের এই পোস্ট। এই পোস্টটি যদি আপনি পুরো পড়েন তাহলে আপনি জানতে পারবেন!

  • (১) ডিজিটাল মার্কেটিং কি ও তা কিভাবে কাজ করে?
  • (২) ডিজিটাল মার্কেটিং কত রকমের হয়ে থাকে?
  • (৩) ডিজিটাল মার্কেটিং কার কার শেখা দরকার?
  • (৪) ডিজিটাল মার্কেটিং কোথা থেকে আপনি শিখবেন?
  • (৫) ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে বা ডিজিটাল মার্কেটিং করে আপনি কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন? বা কত টাকা ইনকাম করা যায় এই ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে।

তো চলুন শুরু করা যাক আজকের এই ফিউচারিস্ট ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিজনেস আইডিয়া টা।

ডিজিটাল মার্কেটিং কি?

তো সবার প্রথমে চলুন দেখে নেওয়া যাক এই ডিজিটাল মার্কেটিং যেটা নিয়ে আজকাল সারা ইন্টারনেটের জগতে অনলাইন অফলাইন এ সবাই কথা বলে ডিজিটাল মার্কেটিংটা একচুয়ালিটি কি জিনিস। তারও আগে আমরা গতানুগতিক মার্কেটিং জিনিসটা কি সেটা চলুন আগে জেনে নিই। যে কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিসেস কেনার জন্য কাস্টমারদের কে আগ্রহী করার নামই হলো মার্কেটিং। আর এই মুহূর্তে মানুষ তার বেশির ভাগ সময় যেখানে স্পেন্ট করে তা হলো ইন্টারনেট ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে। তাই যে কোন কোম্পানির যে কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিসেস তা কেনার জন্য তাকে আকৃষ্ট ও আগ্রহী করে তোলার সর্বশ্রেষ্ঠ জায়গা হচ্ছে এই ইন্টারনেট ও ডিজিটাল প্লাটফর্ম গুলো। যেমন:-

  • সোশ্যাল মিডিয়া 
  • ওয়েবসাইট
  • ভিডিও সাইট 

কারন মানুষ এখন সোশ্যাল ইন্টারনেটে, একটু সময় হাতে থাকলেই পরিবার-পরিজনকে না দিয়ে ফেসবুকের রিলস দেখতে ব্যস্ত, ফেসবুকের রিলস করতে ব্যস্ত, ইউটিউব এর ভিডিও দেখতে বা রান্না শিখতে ব্যস্ত। বা ইনস্টাগ্রামেতেও ভিডিও দেখতে ব্যস্ত, তাই মানুষ সময় যেখানে বেশি কাটাচ্ছে, যে জগৎটাকে নিজের জগৎ বলে ভেবে নিচ্ছে সেই খানেতে আপনার প্রোডাক্ট ও সার্ভিস এর বিজ্ঞাপন আনতে হবে। মানুষ সোসাইটিতে মিশছে কম, রাস্তাঘাটে চলছে ফোনের দিকে মুখ করে, সেখানে আপনি রাস্তায় হোল্ডিং টাঙালে সেই বিজ্ঞাপন ক জনের চোখে পড়বে? তার তুলনায় আপনি যদি ফেসবুকে ব্যানার বা ফেসবুকের স্পন্সরড পোস্ট করেন, সেখানে মানুষ দেখবে বেশি, ফেসবুক ঘাটতে ঘাটতে সেইগুলো চোখে পড়বে বেশি, অর্থাৎ এই ধরনের অনলাইনে, যেখানে মানুষ সময় বেশি কাটায় সেখানে আপনার বিজ্ঞাপন কে তুলে আনতে হবে, সেই বিজ্ঞাপন ফেসবুকে হতে পারে, ইনস্টাগ্রামে হতে পারে, টুইটারে হতে পারে, যে কোন প্লাটফর্ম, অনলাইন প্লাটফর্ম যেটা মানুষ ব্যবহার করে।

 

ম্যাক্সিমাম যতরকম অনলাইন প্লাটফর্ম হয় সেই প্লাটফর্ম এ বিজ্ঞাপন আনতে হবে এবং এটাই ডিজিটাল মার্কেটিং। বর্তমানে অফলাইন মার্কেটিং এর চাহিদা বা ভূমিকা মাত্র ৩০ শতাংশ আর ৭০ শতাংশ হচ্ছে এই বিজ্ঞাপন যেটা অনলাইনে হয়ে থাকে, ডিজিটাল মার্কেটিং। কারণ অনলাইনে মানুষ অমানবিক সময় কাটায়, বাচ্চা থেকে বুড়ো ৮ থেকে ৮০ সবাই এখন ফোন হাতে নিয়ে ব্যস্ত, কোন না কোন প্ল্যাটফর্ম কে ইউজ করে সময় কাটায় তারা, এবার এই সমস্ত অনলাইন এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে নানাভাবে যে কোন প্রোডাক্ট, বা সার্ভিসের বিজ্ঞাপন উপস্থাপন করায় ডিজিটাল মার্কেটিং। অর্থাৎ অনলাইন মিডিয়া গুলোই মার্কেটিং, আর এটা সত্যি সত্যি একটা শিক্ষনীয় বিষয়। কারণ আজকে যাওয়া বা অফলাইনে মার্কেটিং হচ্ছে, অফলাইনে কোন প্রোডাক্ট কে নিয়ে ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে আগামী দিন যে অনলাইন হতে চলেছে এবং অনলাইনেই আপনার বিজ্ঞাপন টা বেশি করে দেয়া প্রয়োজন, সেটা অনুমান করতে পারছেন? যারা ভবিষ্যৎ দেখতে পান, বা ভবিষ্যত নিয়ে ভাবনা চিন্তা করেন তারা, তাই এটা সত্যি একটা শিক্ষনীয় বিষয়।

ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার হয়ে থাকে?

কোটি কোটি টাকার জগতেই ডিজিটাল মিডিয়া ডিজিটাল মার্কেটিং এর। তাহলে আসুন দেখে নেওয়া যাক কত রকমের ডিজিটাল মার্কেটিং হয়ে থাকে আজকের এই ২০২৩ এ দাঁড়িয়ে। ভবিষ্যতে আরো অনেক রকম ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্ল্যাটফর্ম বের হতে পারে। এই মুহূর্তে কত রকমের ডিজিটাল মার্কেটিং হয় চলুন সেগুলোকে এক এক করে দেখে নেওয়া যাক।

 

(১) গুগোল বিজ্ঞাপন: অর্থাৎ যে সার্চ ইঞ্জিন গুগল টাকে আমরা ব্যবহার করি বিভিন্ন তথ্য জানতে, সেই গুগল কোম্পানিতে আপনি বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন বিভিন্ন রকম ভাবে, আপনি ওয়েব সাইটে এড দিতে পারবেন, ওয়েবসাইট এর রেজাল্ট এ আসা বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন। স্পন্সর কন্টাক্ট লিখতে পারবেন, ওয়েবসাইট বানাতে পারবেন। ইউটিউবে এড দিতে পারবেন, ফেসবুকে এড দিতে পারবেন, এই google এডস কে কাজে লাগিয়ে। তাই এই গুগোল অ্যাপস কিভাবে দেওয়া যায়? কত রকমের গুগোল এড হয়, শুধু এটা নিয়েই একটা কোর্স হতে পারে, মানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুগল বিজ্ঞাপন সেকশন টাকে নিয়েই একটা সম্পূর্ণ কোর্স এবং একটা সম্পূর্ণ পেশা হতে পারে। আপনি গুগল বিজ্ঞাপনের এক্সপার্ট হতে পারেন, গুগোল এডস নিয়ে সবকিছু আপনার অনেক দক্ষতা হতে পারে এবং সেটাকে কাজে লাগিয়ে আপনি একজনকে ডাটা অ্যানালিস্ট ও হতে পারবেন। অর্থাৎ এই গুগোল বিজ্ঞাপন একটা বড় সেকশন ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য।

(২) ফেসবুক বিজ্ঞাপন: হ্যাঁ যে ফেসবুক আমরা সময় অসময় স্ক্রল করে যাই, সেই ফেসবুকে কত রকম ভাবে এড দেওয়া সম্ভব এবং কত রকম ভাবে কাস্টমারকে জ্ঞিন করা যায় সেটা শেখাও একটা ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্ল্যাটফর্ম।

(৩) ওয়েবসাইট ক্রিয়েশন: আপনি বা যে কোন কোম্পানি তার সার্ভিস বা প্রোডাক্ট এর জন্য নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করে, সেই ওয়েবসাইটে প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন বা প্রোডাক্ট এর যাবতীয় তথ্য দিয়ে মার্কেটিং করতে পারে এটাকে কনটেন্ট মার্কেটিংও বলা যায় কাইন্ড অফ কন্টাক্ট মার্কেটিং। আপনি এই মুহূর্তে বিভিন্ন রকম মার্কেটিং প্লাটফর্ম ও দেখতে পাবেন, যারা এই রকম রিলেটেড কাজ করে থাকেন।

(৪) সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাডভার্টাইজমেন্ট: অর্থাৎ  যত রকমের সোশ্যাল মিডিয়া হওয়া সম্ভব ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, লিঙ্কডইন, ইউটিউব, এ সমস্ত রকম সোশ্যাল মিডিয়াতেই আপনি (এড) চালানোর জন্য এড শিখতে পারেন, মানে কিভাবে সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া গুলোকে প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করবেন আপনার এড দেওয়ার জন্য। বা আপনার কোম্পানির, বা ক্লায়েন্টরের এড দেওয়ার জন্য সেটা আপনি শিখতে পারেন।

(৫) আফিলিয়েট মারকেটিং: ফেসবুক বা ইউটিউব ঘাটতে ঘাটতে আপনি নিশ্চয়ই এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শব্দটার সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন? কিন্তু ব্যাপারটা কে বোঝেন না, এটা হলো এক ধরনের মার্কেটিং, যিনি মার্কেটিং করবেন তিনি কিছুটা কমিশন ভিত্তিক ও রোজগার করতে পারেন এবং সেই সঙ্গে প্রোডাক্ট ও সার্ভিসের মার্কেটিং ও হয়ে থাকে, এটা আপনি শিখতে পারেন সময় লাগে কোর্স আছে, আপনারা চাইলে গুগলে সার্চ করে এই সমস্ত কোর্সগুলি একদম বিনামূল্যে শিখতে পারেন।

(৬) এসইও: অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন যাতে আপনার তৈরি করা বিজ্ঞাপন টা বেশি বেশি লোকের কাছে পৌঁছায়, সেই জন্য আপনার বিজ্ঞাপনের কনটেনটিকে কিছু মডিফাই করতে লাগে, একটু অপটিমাইজ করতে লাগে আর সেটা শিখার নাম ই হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। বেসিক্যালি এটা সমস্ত রকম ক্ষেত্রেই ডিজিটাল প্লাটফর্মের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে, সেটা ফেসবুক হোক ইউটিউব হোক, বা ব্লগ হোক না কেন আপনার কনটেন্টা যাতে সহজেই দর্শকদের কাছে আসে, সেজন্য আপনাকে কিছু অপটিমাইজেশন বা সেটিং করতে লাগে, সেটা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন দা কাইন্ড অফ ডিজিটাল মার্কেটিং।

(৭) গ্রাফিক ডিজাইনিং: অর্থাৎ আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিজ্ঞাপনের উপযোগি বা অ্যাট্রাক্টিভ করে  তোলার জন্য আপনাকে কিছু গ্রাফিক্সের কাজ শিখতে হতে পারে। এটা একটা সেকশন অফ ওয়ার্ক।

(৮) বিজনেস অটোমেশন: অর্থাৎ সমস্ত রকম অনলাইন প্লাটফর্ম গুলোকে, একটা সিস্টেমের মাধ্যমে সমস্ত কিছু অটোমেটিক করার পদ্ধতিই বিজনেস অটমেশন, যেটা ইন ফিউচারে ভীষণই হিট হতে চলেছে এখন যদি আপনি এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে দেখেন। তো একরকম সেকশন ছাড়াও আরও বিভিন্ন রকম ভাবে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারেন বা করতে পারেন কোন কোম্পানির হয়ে তো এইগুলো হলো প্রধান বা সবথেকে বেশি ইনকাম পোটেনশিয়াল যুক্ত ডিজিটাল মার্কেটিং এর টিপস।

এই প্রত্যেকটা বিষয়ে আলাদা আলাদা করে শিখতে পারেন আপনি এবং প্রত্যেক বিষয়ে আলাদা আলাদা করে একটা কেরিয়ার বা প্রফেশন আপনি তৈরি করতে পারেন। এবার কোথায় শিখবেন কত টাকা খরচ হবে সেই সমস্ত ডিটেলস আমি এই পোস্টেই দিয়ে দেবো। একটু অপেক্ষা করুন পরে পরের ধাপেই যাচ্ছি, তবে এটুকু মনে রাখবেন এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর সমস্ত যে সেকশন গুলোর কথা আমি আপনাদের কে বললাম, এটা একটা সলিড ক্যারিয়ার অপশন এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে। আজকে যদি আপনি একটু একটু করে শেখেন আগামী পাঁচ- দশ বছর পর যে আপনার ভ্যালুয়েশন কত বাড়বে, আপনার যে ইনকাম কত হতে পারে আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। বড় বড় কোম্পানিগুলো এরকম ডেটা এনালিস্ট বা ডিজিটাল মার্কেটারদের কে বহু লক্ষ টাকা দিয়ে মাইনে দিয়ে তাদের কোম্পানিতে চাকরি দেয়। ভবিষ্যতের সময় যত আসবে এই ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার যোগ্য ব্যক্তিদের ডিমাইন্ড তত বাড়বে, তাদের বেতন ও তত বাড়বে এই কোম্পানিগুলোতে। এটা কিন্তু নিশ্চিত হয়ে থাকতে পারেন, আপনাকে যে কোম্পানিতেই চাকরি করতে হবে তা কিন্তু নয়, আপনি নিজেই একটা কোম্পানি তৈরি করতে পারবেন ডিজিটাল মার্কেটিং এর ওপর।

ডিজিটাল মার্কেটিং কাদের শেখা দরকার?

এবার দুইটা ক্যাটাগরিতে ভাগ করতে পারি

১. যাদের নিজস্ব ব্যবসা বা প্রোডাক্ট আছে যেগুলোকে সেল করতে চায়।

২. যাদের নেই যারা ক্যারিয়ার বানাতে চাই।

যাদের নিজস্ব ব্যবসা বা সার্ভিসেস আছেই যেগুলো লোকের কাছে পৌঁছতে চাই, তাদের তো শেখা দরকারি কারন তাদেরকে মানুষের কাছে উপস্থাপন করতে হবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে, তাদের শেখা প্রয়োজন আছে।

যাদের নেই যারা বেকার যুবক তাদের ও শেখা প্রয়োজন আছে, কারণ আপনি নিজের অরগানাইজেশন খুলতে পারবেন ডিজিটাল মার্কেটিংএ। আপনি অন্য কোম্পানির ব্র্যান্ডের হয়ে তাদের প্রোডাক্ট বা তাদের সার্ভিসেস বিভিন্ন মার্কেটিং সলিউশন এর মাধ্যমে মার্কেটিং করতে পারবেন এবং তার মাধ্যমে আপনি অনেক টাকা রোজগার করতে পারবেন, তাই সবার শেখা দরকার। আগামী ভবিষ্যতের জগৎটাকে যদি আপনি ইনকামের রাস্তা হিসেবে নিতে চান, আপনি যদি গতানুগতিক কেরিয়ার অপশন গুলো থেকে বেরিয়ে ভবিষ্যতকে নিয়ে ব্যবসা, বা ভবিষ্যৎ কে নিয়ে কেরিয়ার বানাতে চান তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখুন আপনি। আপনাকে কখনো আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না।

ডিজিটাল মার্কেটিং কোথায় শিখবেন?

এবার আসি আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখবেন কোথা থেকে সেই বিষয় নিয়ে: ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার সবচাইতে বড় প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে ডিজিটাল প্লাট ফর্ম গুলি। অর্থাৎ অনলাইন প্লাটফর্ম গুলোতে আপনি পেইড কোর্স এবং ফ্রি কোর্সের মাধ্যমেও শিখতে পারেন। পেইড কোর্সের জন্য সারা পৃথিবীর নামকরা যে সমস্ত ওয়েবসাইট গুলো আছে সেগুলো আপনি ভিজিট করতে পারেন,

  • Udemy আছে
  • Coursera আছ
  • F freedom আছে

এরকম ইত্যাদি অন্যান্য ব্র্যান্ড আছে যাদের ওয়েবসাইটে আপনি পেইড কোর্স করতে পারবেন। এবং এই পেইড কোর্সের ফিস টা কিন্তু যথেষ্টই বেশি। আর যদি ফ্রি কোর্স করতে চান তাহলে অবশ্যই ইউটিউবকে বেছে নিন। ইউটিউবে ডিজিটাল মার্কেটিং লিখে সার্চ করবেন, দেখবেন বহু চ্যানেল পেয়ে যাবেন যারা ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স বা টিপস দেয়। আপনি সেখানে পার্টি কোলার কোন কোর্স নিয়েই শিখতে পারেন। আপনি গুগল এডস শিখতে চাইলে গুগল এডস লিখে সার্চ করতে পারেন, ফেসবুক এডস শিখতে চাইলে ফেসবুক অ্যাড লিখে সার্চ করতে পারেন। এরকম হাজারো ইউটিউবে ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে একদম ফ্রি কোর্স রয়েছে। সেখান থেকে আপনি খুব সহজেই ফ্রিতেই কোর্সগুলো কমপ্লিট করতে পারেন। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ, এবং ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে ইনকাম কেমন হয়?

এবার আসি সর্বশেষ ধাপে সেটি হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে আপনি কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন, বা ডিজিটাল মার্কেটিং এর ফিউচার কি আছে সেই ব্যাপারে। তো পাঠক এতক্ষণ যেহেতু আপনি কষ্ট করে পোস্টটি পড়েছেন, তাই এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর স্কোপ যে ফিউচারে কি পরিমান আছে তা নিশ্চয়ই অনুমান করতে পেরেছেন? তাও আপনাদেরকে বলি ভবিষ্যৎ জগৎটা কিন্তু অনলাইনেই হতে চলেছে। আজকে ৭০% ডিজিটাল মার্কেটিং দখল করেছে আগামী দিন ৯০% দখল করবে। কারণ সেই পোস্টটার ব্যানার এইরকম এর বিজ্ঞাপন মানুষকে আর আকৃষ্ট করে না। রাস্তায় চমকে গিয়ে তাকিয়ে থাকি না, আমরা ফেসবুকে এরকম ব্যানার দেখে আকৃষ্ট হই। আমরা ইনস্টাগ্রামে এরকম যে ভিডিও গুলো আছে, ইউটিউবে যে ভিডিও গুলো আছে সেগুলোতে আকৃষ্ট হয়।

আর তাই এই প্ল্যাটফর্মগুলোকেই আপনাকে ইউজ করতে হবে, ফিউচারের কথা যদি আপনি বলেন তাহলে, আগামী ৩০ থেকে ৫০ বছর এই ডিজিটাল মার্কেটিং দাপিয়ে বেড়াতে চলেছে। এটুকু আপনি নিশ্চিত হয়ে যেতেই পারেন। আর এই মুহূর্তে যদি ডিজিটাল মার্কেটিং আপনার শেখা থাকে, এই বছর এই মুহূর্তে, তাহলে আপনি বছরে ৫ থেকে ৮ লক্ষ টাকা বেতন নিয়ে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে আপনি চাকরি করতে পারেন আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী। এটা তো জানেন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি বা প্রাইভেট কোম্পানি তে আপনার যোগ্যতাই শেষ কথা বলে? আপনার বেতন কেমন হবে তা নির্ধারণ করার জন্য। আমি একটা গড় অনুপাত দিলাম যেটা বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে, আপনি গুগল করতে পারেন গুগলে লিখে সার্চ করতে পরেন (এভারেজ স্যালারি ডিজিটাল মার্কেটার) তাহলে স্যার রেজাল্ট দেখে আপনি নিজেই বুঝে যাবেন।

সর্বশেষ কথা:- সম্মানিত পাঠক আমরা চেষ্টা করেছি এই একটি পোস্টের মাধ্যমে এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর সমস্ত বেসিক জিনিসগুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপনা বা জানিয়ে দেয়ার জন্য। আপনি শুধুমাত্র একটি পোষ্ট সম্পূর্ণ পড়লেই বুঝতে পারবেন ডিজিটাল মার্কেটিং কি? কত প্রকার? এবং ডিজিটাল মার্কেটিং করে আপনি কত টাকা উপার্জন করতে পারেন সেই সমস্ত ডিটেলস। তাই আশা করছি আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য ভীষণ উপকারী হবে, যদি উপকারী মনে হয় তাহলে আপনার বন্ধুদের কাছেও শেয়ার করতে পারেন যেন তাদেরও উপকার হয়। আর আপনি যদি এমনি আনকমন এবং ইন্টারেস্টিং পোস্ট পড়তে পছন্দ করেন তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি দেখা হবে আবার পরবর্তী কোন আর্টিকেলে ততক্ষণ পর্যন্ত ধন্যবাদ আল্লাহ হাফেজ।

Welcome to MoneyCanvas

Leave a Comment